মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর : উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে নারী পাটবীজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলা পরিষদে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ তাছলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে নাবী পাট বীজ সংগ্রহের কার্যক্রমের উদ্ভোধন করা কালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রূপা বেগম, উপজেলা কৃষি অফিসার জীবাংশু দাস, উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারী, বিআরডিবি অফিসার মোঃ আশরাফুল আলম প্রমুখ।
উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এসময় উপস্থিত প্রায় ১০ থেকে ১২ জন নাবী পাটবীজ উৎপাদনকারী কৃষকের কাছ থেকে কেজি প্রতি ২শ টাকা হারে প্রায় ৪৫০ কেজি পাট বীজ সংগ্রহ করা হয়।
উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারী বলেন, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় এ বছরে পরীক্ষামূলক ভাবে ১০ একর জমিতে নারী পাটবীজ বপন করা হয়। এই ১০ একর জমিতে প্রায় ২১শ কেজি বীজ উৎপাদন হয়েছে। এমতাবস্থায় উৎপাদিত পাট বীজ নিয়ে যাতে কৃষকেরা চিহ্নিত না হয় এবং খুশি মনে পাট বীজ বিক্রয় করতে পারে তাই আমরা উপজেলার পক্ষ থেকে পাটবীজ সংগ্রহ করেছি। তিনি আরো জানান, নারী পাট বীজ উৎপাদন কৃষকেরা সরকার নির্ধারিত উপযুক্ত মূল্য পেয়ে অত্যান্ত আনন্দিত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ তাছলিমা আকতার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ১০ থেকে ১২ জন কৃষকের কাছ থেকে পাট বীজ সংগ্রহ করেছি। ফেব্রুয়ারি মাস ধরে এই উৎপাদিত নারী পাটবীজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, বিদেশি পাট বীজ কিনে প্রতারিত না হয়ে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত দেশীয় নাবী পাট বীজের মাধ্যমে পাট আবাদ করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ২০১৬ সাল থেকে দেশী বীজ দিয়ে পাট চাষ করে কৃষক লাভবান হবার পর দেশী বীজের সংরক্ষণ, উৎপাদন ও বিতরণের ওপর জোর দিয়েছে কৃষি বিভাগ। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন সম্প্রসারিত হলে পাটবীজে আমদানি নির্ভরতা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে বলে মত কৃষিবিদদের।
এরই ধারাবাহিকতায়, “উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় নাবী পাট বীজ প্রকল্প না থাকায় অত্র উপজেলায় উপ সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারী পরীক্ষা মুলক ভাবে ১০ একর জমিতে ৫০ জন চাষীর মাঝে নাবী পাট বীজ করেন। বীজ প্রদান করার পর খোঁজ-খবর রেখেছেন নিয়মিত। দিয়েছেন সার কীটনাশক, প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ। এরই ফসল হিসাবে কৃষক হাসি মুখে ঘরে তুলছে কালো রংয়ের নাবী পাটের বীজ। যা ইতিপূর্বে সালথায় তেমন লক্ষ্য করা যায়নি।
এবার ফলন ভালো হয়েছে। তাই পাট অধিদপ্তরের কাছে সালথা উপজেলার পক্ষ ঢেকে আবেদন করেছে যাতে আগামী বছর এ উপজেলায় নাবী পাট বীজ করার জন্য বাজেট দেন।
Leave a Reply