ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কিকে ৬০ কোটি ডলার সহায়তা দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বিষয়ক আইনী ধাপসমূহের দ্রুত সুরাহা করতে ব্লিনকেন বরাবর চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে বাইডেন বলেন, ইউক্রেনে মোট ৬০ কোটি ডলার পাঠানো হবে। তার মধ্যে ৩৫ কোটি ডলার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ও ২৫ কোটি ডলার দেশটির বেসামরিক খাতসমূহের জন্য জন্য বরাদ্দ থাকবে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নিতে আপনাকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
আগের দিন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের লক্ষ্য ছিল পশ্চিমকে বিভক্ত করা এবং সেই লক্ষ্যে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ন্যাটো আগে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় ছিল, এখনও তেমনই আছে।
‘ইউরোপের যেসব রাষ্ট্র ন্যাটোর নীতি ও আদর্শের সঙ্গে একাত্মবোধ করে, তাদের সবার জন্যই আমাদের জোটের দরজা খোলা।’
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যে কূটনৈতিক সংকট, তা মূলত ন্যাটোকে ঘিরে। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব দানা বাঁধতে থাকে। সম্প্রতি ইউক্রেনকে ন্যাটো সহযোগী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর আরও ঘনীভূত হয় এই দ্বন্দ্ব।
ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের সরকারকে চাপে রাখতে গত দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল রাশিয়া; কিন্তু সেই কৌশল কাজে আসেনি। উপরন্তু, এই দুই মাসের প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বলে এসেছে, রাশিয়া যে কোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাবে।
অবশেষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষণ সম্প্রচারের পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় এবং তড়িৎগতিতে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী।
ইতোমধ্যে রুশ সেনারা ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মালিতপোল দখল করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। এছাড়া, রাজধানী কিয়েভেও রুশ সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
Leave a Reply