চলতি বছরের এসএসসি-সমমান পরীক্ষা আগামী জুনে ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আগস্টে অনুষ্ঠিত হবে। এবারো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হবে। এবার বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। আর বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিটি বিষয়ে ৪৫ নম্বর এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের প্রতিটি বিষয়ের ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বাছনিক ( টেস্ট) পরীক্ষা নেওয়া হবে না।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভায় এ সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা সংক্রান্ত সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এসএম আমিরুল ইসলাম আজকালের খবরকে বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জুনে এসএসসি ও আগস্টে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের দুই পত্রের মোট ১০০ নম্বরের করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এসএসসির আইসিটি, ধর্মীয় শিক্ষা, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং এইচএসসিতে আইসিটি এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। দুই-একদিনের মধ্যে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।
সূত্রে জানা যায়, এবছর বিজ্ঞান বিভাগে প্রতিটি বিষয়ে মোট ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে সৃজনশীল আটটি প্রশ্নের মধ্যে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্ন ১০ নম্বরের করে ৩০ নম্বরের (উত্তর দিতে হবে তিনটি প্রশ্নের) এবং নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) ১৫টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য এক নম্বর নির্ধারিত থাকবে। মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিটি বিষয়ে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তার মধ্যে ১১টি সৃজনশীল প্রশ্নের মধ্যে চারটির উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের ১০ করে অর্থাৎ ৪০ নম্বরের (উত্তর দিতে হবে চারটি প্রশ্নের)। এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে ১৫ নম্বরের। পরীক্ষার শুরুতে এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, এরপর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সকল পরীক্ষার সময় দুই ঘণ্টা নির্ধারিত থাকবে।
সভায় অংশ নেওয়া একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরীক্ষার্থীদের পুরো সিলেবাস পড়ানো সম্ভব হয়নি। যে কারণে এবারো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর এসএসসিতে আইসিটি, ধর্ম শিক্ষা, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। সময় স্বল্পতার কারণে উভয় পরীক্ষায় টেস্ট (বাছনিক) পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্বান্ত হয়েছে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নিতে পারবে।
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের রুটিন দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত সভায় প্রাথমিক কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল তার আলোকে আমরা এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেসব লিখিত আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে সকল শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
Leave a Reply