ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান বন্ধে বুধবার (০২ মার্চ) ফের বৈঠকে বসছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক।
এর আগে সোমবার বেলারুশের গোমেল শহরে প্রথম দফা বৈঠক হয়েছিল প্রতিবেশী দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে। কিন্তু সেখান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় বুধবার দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু করতে রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয় দেশের প্রতিনিধিরা সম্মত হয়েছেন বলে রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তিকে নিশ্চিত করেছেন বেলারুশের রাজনীতিবিদ ইউরি ভসক্রিসেনস্কি, যিনি বৈঠকের আয়োজন কমিটির অন্যতম সদস্য।
সোমবারের বৈঠক শেষে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত বছরের শেষের দিক থেকে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে।
এই দ্বন্দ্বের জেরেই দীর্ঘ দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষণ সম্প্রচারের পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় এবং তড়িৎগতিতে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পাশপাশি চতুর্দিক থেকে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী।
ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রুশ বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ হচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনীর। তবে গত দুই দিন ধরে সংঘাত তীব্র হয়ে উঠেছে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে। রুশ বাহিনীর রকেট হামলায় ইউক্রেনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটিতে ইতোমধ্যে শতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি অবশ্য এই বৈঠক থেকে ইতিবাচক কোনো কিছুর আসার প্রত্যাশা তেমন করছেন না। বৈঠক শেষে এক ভিডিওবার্তায় এই বৈঠককে ‘নিষ্ফল’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিন।
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, বৈঠকের সাফল্য-ব্যর্থতা সম্পর্কে মন্তব্য করার মতো সময় এখনও আসেনি।
Leave a Reply