বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশকে স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার বিকেলে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার জজ আদালতে এই বিষয়ে শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে গত ১ মার্চ পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে ৭ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে, যার শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এ জন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন এই নায়িকা।
১৫ নভেম্বর পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একই সঙ্গে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত ১০-এ বদলি করা হয়।
Leave a Reply