1. admin@thedailypadma.com : admin :
আজ বিশ্ব কিডনি দিবস - দ্য ডেইলি পদ্মা
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন

আজ বিশ্ব কিডনি দিবস

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২
  • ২২২ Time View

আজ বিশ্ব কিডনি দিবস, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বিভিন্ন কর্মসূচিতে এ দিবসটি পালিত হবে। প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার এ দিবসটি পালিত হয়।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। চলতি বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য- জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’।

দিবসটি উপলক্ষে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল রাজধানীতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়া কিডনি দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বিএসএমএমইউ) বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

কিডনি সুস্থ রাখতে

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। খাবারের তালিকায় প্রচুর শাকসবজি রাখুন। চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করুন ও কম লবণে রান্না করুন। সুষম খাদ্যাভ্যাস সবচেয়ে ভালো। মানে শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজের সুষম অনুপাত যেন থাকে। বিশেষ ধরনের ক্র্যাশ ডায়েট চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া না করাই ভালো। কারণ, এ ধরনের অনেক ডায়েটে অতিরিক্ত প্রোটিন ব্যবহার করা হয়, যা সবার জন্য ভালো না–ও হতে পারে।

রক্তের শর্করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সুগার বা রক্তচাপ একটু বেশি থাকলেও তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না বলে অনেকে একে পাত্তা দিতে চান না। কিন্তু এগুলো নীরবে আপনার কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকবে। যখন সমস্যা হবে, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।

ধূমপান কিডনির জন্য ক্ষতিকর, তা গবেষণায় প্রমাণিত। কিডনি সুস্থ রাখতে হলে ধূমপান বর্জন করতে হবে। স্থূলতার সঙ্গেও কিডনি রোগের সম্পর্ক আছে। অতিরিক্ত মেদ-ভুঁড়ি থাকলে তো পুষ্টিবিদ বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে কমাতে হবে।

নিজে নিজে কোনো ওষুধ খাবেন না। অনেক ওষুধ, হারবাল পণ্য, ভেষজ উপাদান কিডনির জন্য ক্ষতকর হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করবেন না।

নিয়মিত কিডনির পরীক্ষা করুন, বিশেষ করে যারা ঝুঁকিপূর্ণ।

১. দৈনিক ২-৩ লিটার পানি পান করুন: পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।

২. অতিরিক্ত লবণ পরিহার করুন: খাবারে অতিরিক্ত লবণ দেওয়া বা খাবারের সাথে আলাদা লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: অতিরিক্ত শারীরিক ওজন কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

৪. মাদক ত্যাগ করুন: ধূমপান ও মদপানের কারণে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে পারে। ফলে এর কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।

৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন: নিয়মিত রক্তে সুগারের পরীক্ষা করান এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

kidney-in

৬. কোমলপানীয় পরিহার করুন: কোমলপানীয় বা বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিংকস কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

৭. রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখুন: রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনির সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৮. ওষুধ সেবনে সতর্ক হোন: কম-বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ওষুধ গ্রহণ করা ঠিক নয়।

৯. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আসুন কিডনির যত্ন নেই, সুস্থ থাকি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews