হাতের রেখা যাই বলুক না কেন, কর্মই মানুষের ভাগ্য নির্ণয় করে! মোটামুটি এই বক্তব্যই বলতে গিয়ে ‘রাধে শ্যাম’ সিনেমায় ১৪০ মিনিট সময় নিয়ে ফেললেন পরিচালক রাধাকৃষ্ণ কুমার। ঝকঝকে ইউরোপের লোকেশনে চোখ আটকে গেলেও, গল্পের গরু উঠলো গাছে! আর ‘বাহুবলী’ প্রভাস? চিত্রনাট্যের কবলে পড়ে একেবারেই দুর্বল।
বিক্রম আদিত্য তথা প্রভাস জ্যোতিষচর্চায় দারুণ। যা বলেন, তা ফলবেই। তবে এই বিক্রমের একটাই দোষ। বিক্রমের হাতের তালুতে প্রেম রেখা না থাকায়, প্রেম থেকে শত হাত দূরে। হঠাৎ করেই সামনে এসে দাঁড়ায় ড. প্রেরণা তথা পূজা হেগড়ে। ব্যাস, পূজার রূপে ঘায়েল হয়ে বিক্রমের প্রেম শুরু! খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
পূজার হাতের রেখায় উজ্জ্বল ভবিষ্যত। তা নিজে চোখে ছকে দেখেছেন বিক্রম। কাহিনি এগোতে থাকে অন্যভাবে। কীভাবে? সেটি না হয় তোলা থাক। তবে এটুকু বলা যায়, কাহিনীর বিচিত্রতা সিনেমাকে দাঁড় করাতে পারে না। বরং এতে সিনেমার গল্প ঘ্যানঘ্যানে হয়ে যায়।
সিনেমার এক পর্যায়ে বিজ্ঞানী এবং এক গুরুর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। আর সেখান থেকেই নায়ক প্রভাসের দেখা মিলবে।
দুর্দান্ত ভিএফএক্স এবং মিঠুন, আমাল মালিক ও মনন ভরদ্বাজের অনবদ্য সঙ্গীত থাকা সত্ত্বেও দুর্বল চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের জন্য তা একেবারে ফিকে হয়ে যায়। ‘বাহুবলীর’ সেই দাপুটে প্রভাস কিন্তু এই সিনেমায় প্রায়শই হতাশ করেছেন। তবে সিনেমায় পূজাকে দেখতে মিষ্টি লেগেছে।
শেষমেশ বলা যায়, এই সিনেমায় যে প্রচুর খরচ হয়েছে তা সিনেমা প্রতিটি দৃশ্য দেখেই বুঝে গেছে দর্শক। গল্প বা চিত্রনাট্য দুর্বল হলে, শুধু চমকেই যে সিনেমা চলে না, তাই যেন প্রমাণ করল ‘রাধে শ্যাম’। তাই এ সিনেমা না দেখলেও দর্শকরা বড় মিস করবেন না।
Leave a Reply