ইউক্রেনে রুশ সেনা আগ্রাসন বন্ধে ছয় প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য-ইউক্রেন কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠনে যোগ না দেয়া, অস্ত্র ত্যাগ, লুহানস্ক ও দোনেস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতা এবং রুশ ভাষাকে ইউক্রেনের রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি দেয়া।
সোমবার রাশিয়ার পার্লামেন্ট দুমার ডেপুটি স্পিকার মিখাইল শিরিমিত এসব প্রস্তাব দেন। এদিন রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানে চতুর্থ দফা ভার্চুয়ালি আলোচনায় বসেন দুদেশের প্রতিনিধিরা।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও মারিউপোলসহ বিভিন্ন শহরে বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার কিয়েভের একটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলায় দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মারিউপোলে নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা অলেক্সি আরেস্টোভিচ। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দিনিপ্রোরুদনের মেয়রকে আটক করেছে রুশ সেনারা।
অন্যদিকে গত রোববার পোল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ন্যাটোর ভূখণ্ডে আঁচড় লাগলে পরিণতি হবে ভয়াবহ হবে। এসময় সীমান্তে মিসাইল হামলা ন্যাটোর জন্য সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছেন পোল্যান্ড প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদা।
রাশিয়ার পার্লামেন্ট দুমার ডেপুটি স্পিকার মিখাইল শিরিমিত বলেছেন, জেলেনস্কি যদি সত্যিই এখনো ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন তাহলে তাকে নব্য নাৎসিবাদীদের নিরস্ত্র, অস্ত্র সমর্পণ, সংবিধানে নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ, কোনো আন্তর্জাতিক ব্লকে যোগ না দেয়া, রুশ ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি, ক্রিমিয়া উপত্যকাকে রাশিয়ার অংশ এবং লুহানস্ক ও দোনেস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতা মেনে নিতে হবে। এসময় দুমার ডেপুটি স্পিকার সাফ জানিয়ে দেন, ইউক্রেনকে রাশিয়া ও এর নাগরিকদের নিরাপত্তা বিপন্নকারী দেশে পরিণতি হতে দেবে না মস্কো।
অন্যদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক টুইটারে বলেছেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনার একটি ছবিও টুইট করেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা সক্রিয়ভাবে আমাদের অবস্থান প্রকাশ করছি। আশা করছি আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছতে পারব। সূত্র: এএফপি ও রয়টার্স
Leave a Reply