ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইউক্রিনফর্ম এক প্রতিবেদনে দাবি করে, রাজধানী কিয়েভের একটি ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় ভোরে শহরটিতে একাধিক বিস্ফোরণের শব্ধ শোনার পর এই খবর সামনে এলো। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কোনো হতাহত হয়েছে কিনা তাও নিশ্চিত নয়।
এর আগে, ইউক্রেনের স্থানীয় গণমাধ্যম ইউক্রেন ২৪ এ প্রচারিত খবরে বলা হয়, কিয়েভের পশ্চিম অংশে পর পর ২টি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বেলারুশের অংশ থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনে কিছু এলাকায় এতটাই বোমা হামলা করা হচ্ছে যে নিহতদের কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই গণকবর খুঁড়ে সমাহিত করতে বাধ্য হতে হচ্ছে। এমনটি দাবি করেছেন মারিওপোলের উপ-মেয়র ওরলভ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিওপোল শহরটি রুশ বাহিনীর ঘেরাও করে রেখেছে। এছাড়াও খারকিভ, চেরনিহিভসহ রাজধানী কিইভের কাছের কিছু শহরেও এখন অনেকটা কঠিন অবস্থা বিরাজ করছে।
এসব শহরের ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিওপোলে রাশিয়ার অবিরাম গোলাবর্ষণে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সেখানে গত দুই সপ্তাহে খোঁড়া হয়েছে বেশ কয়েকটি গণকবর।
শহরের উপ-মেয়র ওরলভ বিবিসিকে বলেন, নিহতদের ব্যক্তিগত কবরস্থানে দাফন করতে পারছি না আমরা। কারণ কবরস্থানগুলো নগরীর সীমানার বাইরে। আর সীমানা ঘিরে আছে রুশ বাহিনী।
মারিওপোলের সিটি কাউন্সিল জানান, নগরীটিতে বেসামরিক নাগরিক নিহত সংখা দুই হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। রাশিয়ার প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের কারণে মরিওপোল থেকে কেউ বের হতে পারছে না। এমনকি নাগরিকদের সরাতে নিরাপদ জোন খোলার চেষ্টা করার পরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
গণকবরে নিহত সংখ্যা কত হতে পারে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, একটি কবরে ৬৭টি লাশ দাফন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গোলা থেকে বাঁচতে নগরীর হাজার হাজার বাসিন্দা বাড়ির বেজমেন্টে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক পরিবার মারা যাওয়া সদস্যদের নিজস্বভাবেই বাড়ির আঙ্গিনায় কিংবা বাগানে কবর দিচ্ছেন।
Leave a Reply