1. admin@thedailypadma.com : admin :
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে - দ্য ডেইলি পদ্মা
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৯ অপরাহ্ন

শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে

  • Update Time : শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৪০ Time View

শ্রীলঙ্কায় এখন ভয়াবহ আর্থিক সংকট চলছে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী কলম্বোতে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাউসের সামনে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশেকে পদত্যাগ করতে হবে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের খবরে শুক্রবার বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমশ আরও বেশি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে।

এর জেরে কলম্বোয় আধা সামরিক বাহিনীর একটি ইউনিট এবং বিশেষ টাস্ক ফোর্সের একটি ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৫ জন বিক্ষোভকারী।

সংঘর্ষে এক এএসপিসহ পাঁচজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একটি পুলিশ বাস, একটি জিপ, দুটি মোটরবাইক পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। একটি জলকামান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন।

সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একটি চরমপন্থি গোষ্ঠী এ প্রতিবাদের পেছনে ছিল। তাদের সব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এনডিটিভি অনলাইন জানায়, বিক্ষোভের জেরে কলম্বোতে কারফিউ জারি করা হয়েছিল।

শ্রীলঙ্কায় স্বাধীনতার পর থেকে এ ধরনের আর্থিক সংকট কখনো হয়নি। খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার কোথাও ডিজেল পাওয়া যায়নি। ফলে রাস্তায় যানবাহন ছিল না। ১৩ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। ফলে হাসপাতালে সার্জারি হয়নি। সেখানে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

বিদ্যুতের রেশন চালু হওয়ায় মোবাইল ফোন ব্যবহারেও অসুবিধা হয়েছে। কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জ মাত্র দুই ঘণ্টা চালু ছিল। জরুরি নয়- এমন সব বিভাগের কর্মীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বাঁচাবার জন্য রাস্তার লাইট বন্ধ রাখা হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা থেকেই প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে লোক জড়ো হতে শুরু করেন। তারা বলতে থাকেন, প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবার এখান থেকে চলে যান।

প্রেসিডেন্ট রাজাপাকশের বড় ভাই মাহিন্দ্র রাজাপাকশে হলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী, ছোট ভাই বাসিল রাজাপাকশের হাতে অর্থ মন্ত্রণালয় আছে এবং তার আরেক বড় ভাই চামাল রাজাপাকশের কাছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আছে। তার ভাইপো নামাল রাজাপাকশের কাছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আছে।

বুধবার থেকেই দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করা হয়।

শ্রীলঙ্কা সরকারের ঋণের পরিমাণ ৫১ বিলিয়ান ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর মার্চে আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সংকট দেখা দেয়। জিনিসের দাম ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে যায়। শ্রীলঙ্কা সরকার পরিস্থিতি সামলাতে আইএমএফ, চীন ও ভারতের কাছ থেকে ঋণ চেয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews