1. admin@thedailypadma.com : admin :
ফরিদপুর সেভ হোমে শৈশব কাটিয়ে ১২ বছর পর মুক্তি পেল তরুণী - দ্য ডেইলি পদ্মা
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুর সেভ হোমে শৈশব কাটিয়ে ১২ বছর পর মুক্তি পেল তরুণী

  • Update Time : বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩৫২ Time View

মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর :

১২ বছর আগে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ খুঁজে পান ১০ বছরের এক মেয়ে শিশুকে। শিশুটি হারিয়ে এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করছিল। তাকে পুলিশ উদ্ধার করে নাম ঠিকানা জানার চেষ্টা করলেও শিশুটি তা বলতে পারনি।

পুলিশ সাধ্যমত শিশুটির পরিবারকে খোঁজার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শিশুটির ছদ্মনাম ‘কুমু’ দিয়ে একটি নিখোঁজ ডায়রি করে গত ২০১০ সালের ১ এপ্রিল। পরে আদালত শিশুটিকে  ফরিদপুর জেলা সমাজসেবার সেফ হোমে পাঠান।

সেই থেকেই ফরিদপুরের সেফ হোমই ছিল তার জীবন। সে তার বাবা-মার নাম পরিচয় তার আর মনে করতে পাড়েনি। সেখানেই বেড়ে উঠতে থাকে কুমু।

এমন সময় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ফরিদপুর ইউনিট জানতে পার কুমুর বিষয়ে।

ব্লাস্টের আইনজীবী অর্চনা দাস নেমে পড়েন কুমুর জন্য কিছু করার জন্য। প্রায় ৫ মাস ধরে কুমুকে কাউন্সিনিং করতে থাকেন তিনি। জানতে চেষ্টা করেন তার শৈশব থেকে কৈশরে উত্তীর্ণ হওয়া কুমুর অতীত। তাতে ব্যর্থ হন তিনি। তিনি লক্ষ করেন কুমু এখন অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে। তিনি অনুভব করেন কুমুর একটি পরিবার দরকার। শুরু হয় খোঁজ।

অবশেষে সমাজসেবার গাজীপুরের এক উপ-তত্বাবধায়ক তার দায়িত্ব নিতে রাজি হন। তিনি ফরিদপুরে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তাই তিনি কুমুর সম্পর্কে অনেক গভীর থেকেই অবগত।

অর্চনা দাস বলেন, সোমবার (১৮ এপ্রিল) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালত শফিকুল ইসলাম কুমুর জবানবন্দি নেন। কুমু এখন প্রাপ্ত বয়স্ক। কুমু সেই পরিবারের সাথে থাকার বিষয়টি আদালতে  স্বীকার করেন। তার দায়িত্ব নেবার বিষয়টি নিশ্চিত হবার পর আদালত কুমুকে নিজ জিম্মায় মুক্ত করেন।

অর্চনা দাস বলেন, ঐ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন কুমুকে তার পরিবারে বাচ্চাদের দেখভাল করার কাজ করবেন ও তার বাড়িতেই থাকবেন।

ব্লাস্টের জেলা সমন্বয়কারী শিপ্রা গোস্বামী বলেন, বন্দীদশায় শৈশব কাটিয়ে কুমু এখন মুক্ত। তিনি এখন পরিপূর্ণ তরুনী। তিনি এখন অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে। ঠিকানা, পিতামাতা কারো কথাই সে বলতে পারেনা। মুক্ত হয়ে আজ সে প্রায় প্রতিক্রিয়াহীন। আমাদের সমাজে কুমুরা প্রজাপতির মতো রঙিন ডানা মেলে ঘুরে বেড়াক নির্যাতনমুক্ত এবং বৈষম্যহীন পৃথিবীতে সেই প্রত্যাশা আমার।

গাজীপুর সমাজসেবা কার্যালয়ের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র এর উপ-তত্বাবধায়ক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার পরিবারে বাচ্চাদের জন্য  একজন সাহায্য কারী প্রয়োজন ছিল।

তিনি আরো বলেন, কুমু পরবর্তীতে নিরাপদ স্থানে বা চাকুরী পেলে বা বিবাহ করে স্বাধীন ভাবে নিজের মত করে জীবন কাটাতে পারবে।

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ এস এম আলী আহসান বলেন, কুমু আজ থেকে স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারবেন। সে তার জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সেভহোমে আরো অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক তরুনীরা আছেন। তাদের ব্যপারেও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews