1. admin@thedailypadma.com : admin :
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে আরো তীব্র হয়েছে যানজট - দ্য ডেইলি পদ্মা
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে আরো তীব্র হয়েছে যানজট

  • Update Time : শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২
  • ১২৭ Time View
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে আরো তীব্র হয়েছে যানজট। শুক্রবার (৮ জুলাই) ভোর থেকে শুরু হওয়া যানজট ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এদিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজারো মানুষ।
পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে সেতুর পশ্চিম প্রান্তে বাস ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। এ দুর্ঘটনার কারণে ভোরে এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট সেতুতে টোল আদায়ও বন্ধ থাকে। ফলে সকালে যানজট সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার কালিহাতীর এলেঙ্গা ছাড়িয়ে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনের চাপ বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে যানজটও দীর্ঘ হতে থাকে। বিকেল নাগাদ দীর্ঘ এই যানজট বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।
দুপুরে সরেজমিন মহাসড়কের মির্জাপুরের পাকুল্যা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত গিয়ে দেখা যায়, ঈদে ঘরমুখো হাজারো মানুষ যে যেভাবে পারছেন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। তবে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে ট্রাক ও পিকআপভ্যানে করেই বেশি মানুষ গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। এতে করে সকাল থেকেই প্রচণ্ড রোদ আর দুপুরের পর বৃষ্টি এবং তীব্র যানজটের কারণে ট্রাকে থাকা ঘরমুখো মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।  এবার মহাসড়কটিতে অল্পসংখ্যক মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
ট্রাক, পিকআপ, বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহনে করে নাড়ির টানে ছুটছেন মানুষ। তবে যানজটের কারণে বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বিপাকে পড়েছেন। গন্তব্যে কখন পৌঁছাবেন এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা।
দুপুর ১২টায় মহাসড়কের পৌলি এলাকায় কথা হয় কুড়িগ্রামগামী আরিফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভোর ৫টায় বাইপাইল থেকে গাড়িতে উঠেছি। দুপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইলের পৌলি পর্যন্ত এসেছি। খাবারও খেতে পারছি না। কোথায় পানিও পাচ্ছি না। গরমসহ সব মিলিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ট্রাকচালক আব্দুল কাদের বলেন, আশুলিয়া থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে কখনো টানা ৩০ মিনিট গাড়ি টানতে পারিনি। সড়কের দিকে তাকালে শুধু গাড়ি আর মানুষ। পা ফেলার মতো জায়গা নেই।
বগুড়াগামী রাশেদা বেগম নামে এক গৃহবধূ বলেন, আমরা গরম সহ্য করতে পারলেও আমার তিন বছরের ছেলেটি গরম সহ্য করতে পারছে না। সব মিলিয়ে আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে।
ট্রাকের ছাদে করে বগুড়ায় যাওয়া পোশাককর্মী মনিরা বলেন, ‘বাস-ট্রেনে টিকিট না পেয়ে ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে ট্রাকেই যাত্রা করেছি। গত ঈদে বাড়ি যাইতে পারি নাই। এবার ঈদ পরিবারের সবার লগে করমু ভেবে যাইতেছি। তবে ঢাকা থেকে রওনা দেওয়ার পর থেকেই জ্যামে পইরা অস্থির হইয়া গেছি। বাচ্চারা খিদায় কষ্ট করতাছে। আশেকপুর আইসা জ্যামে আটকা রইছি। এ কারণে রাস্তা থেইকাই রুটি কিনা সকলে মিলা খাইতাছি।’
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতোয়ার রহমান বলেন, প্রচার যানবাহনের চাপে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের সেতু পূর্ব থেকে আশেকপুর বাইপাস পর্যন্ত কোথাও থেমে আবার কোথাও ধীরগতি গণপরিবহন চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, যানজট নিরসনে মহাসড়কে সাত শতাধিক পুলিশ কাজ করছে। বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপরে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কের যানজট শুরু হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews