সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন।
শনিবার (৯ জুলাই) সকাল আটটায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় সঙ্গে অগ্রিম ঈদ উদযাপন করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় ও কোরবানি দিচ্ছেন।
রাখালতলী পুরাতন মসজিদের ইমাম জয়নাল ফকির রাখালতলী পুরাতন মসজিদ ময়দানে সকাল আটটায় পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ পড়ান। এ ছাড়াও স্থানীয় মাইটকোমরা পুরাতন জামে মসজিদ, নতুন জামে মসজিদ, কাটাগড় পুরাতন জামে মসজিদ, দিঘিরপাড় জামে মসজিদ, বারাংকুলা গ্রামে পবিত্র ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মাইটকোমরা পুরাতন জামে মসজিদে নামাজ আদায় করার পর ওই গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল শিকদার ও আবুল হোসেন বলেন, আমাদের জন্মের পর থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে অগ্রিম ঈদ পালন করে আসছি। সে মোতাবেক আজ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করলাম।
গ্রামের কালাম শিকদার জানান, আজ সকালে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। এরপর কোরবানি দিবো। বেশ ভালোই লাগছে। আনন্দ লাগছে।
আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ও স্থানীয় যুবক মো. তামিম লস্কার বলেন, আমার নানা খায়ের শিকদার,মো. আফতাব উদ্দিন শিকদার, মো. মাহবুল শিকদার আমারদের আত্মীয় স্বজনরা আজ ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানি করেন। আমারা আগামীকাল ঈদ পালন করবো। আমাদের ডাবল আনন্দ। দুই দিন ঈদ পালন হয়। দুইদিন বেশি বেশি আনন্দ উপভোগ করি। বেশ ভালোই লাগে।
মাইটকুমরা গ্রামের মাতুব্বর মো. আফতাব উদ্দিন শিকদার একছির জানান, আমরা পুর্বপুরুষদের থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদ পালন করে আসছি। আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে এ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছি।
মাইটকোমরা জামে মসজিদে ঈদের নামাজের ইমামতি করেন যশোর মাদ্রাসার বাইশ বাড়িয়া সিদ্দিকীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মো. রিফাত শিকদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অত্র এলাকার বেশ কিছু মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। এটা তাদের পূর্বপুরুষদের রীতিনীতি।
এ বিষয়ে শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ বলেন, শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, সহস্রাইল গ্রামে সকাল ১০ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের সহস্রাইল, দড়ি সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, বারাংকুলা, বড়গাঁ, মাইটকুমড়া, গঙ্গানন্দপুর, রাখালতলী, কাটাগড় ও দিঘীরপাড় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আগাম ঈদ উদযাপন ও কোরবানি দেন।
Leave a Reply