1. admin@thedailypadma.com : admin :
ভারতীয় মুদ্রার রেকর্ড পতন - দ্য ডেইলি পদ্মা
রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শেষ ওভারে টানটান উত্তেজনা শ্রীলঙ্কার বোলারদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে জয় তুলে নিল বাংলাদেশ ইসরায়েলের কাছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত কমপক্ষে ৭৮ আগামীকাল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া বাগদান সারলেন হান্নান মাসউদ, কনে কে? যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন সদস্য দগ্ধ ষষ্ঠবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিল, ভেস্তে গেল গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েল গাজা নগরীতে চলমান যুদ্ধের দুই বছরে সবচেয়ে তীব্র হামলা চালাচ্ছে, পালাচ্ছে হাজারো মানুষ এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

ভারতীয় মুদ্রার রেকর্ড পতন

  • Update Time : বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
  • ১৩৪ Time View
সর্বকালের সর্বনিম্ন পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় রুপি। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) প্রতি ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার মান দাঁড়ায় ৮০ রুপির কিছু বেশি। চলতি আর্থিক বছরে রুপির দাম সাত শতাংশ কমল।
রুপির দাম কিছুদিন হলো পড়ছিল। মঙ্গলবার সকালে তার রেকর্ড পতন হয়। এক মার্কিন ডলারের মূল্য রুপিতে গিয়ে দাঁড়ায় ৮০ দশমিক শূন্য এক। এযাবৎকালের মধ্যে রুপির দাম কখনো এতটা পড়েনি। চলতি বছরের শুরুতে এক মার্কিন ডলারের মূল্য ছিল ৭৪ রুপি। তারপর থেকে রুপির দাম পড়তে পড়তে এখন ৮০ রুপিতে এক ডলার হলো।
এটি রুপির দাম পতনের নতুন মাইলফলক। এর আগে ডলারের বিপরীতে রুপির দাম কখনো ৮০ ছাড়ায়নি। এ খবর দিয়েছে ব্লুমবার্গ। এ নিয়ে চাপে রয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। ২০১৪ সালে ৬৩ রুপি দিয়ে কেনা যেতো এক ডলার।
কেন এই পতন? : কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তেলের দাম বেড়ে যাওয়া, বিদেশি সংস্থাগুলো নিজেদের পুঁজি তুলে নেওয়ার ফলে রুপির দাম কমছে।
তবে ঘটনা হলো, শুধু রুপির দাম কমছে, তাই নয়, গত কয়েক মাসে ইউরোর মতো অত্যন্ত শক্তিশালী মুদ্রার দামও অনেকটাই কমেছে। এখন ইউরো ও মার্কিন ডলারের মূল্য প্রায় সমান হয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রায় সব দেশের মুদ্রাই কমবেশি পড়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ের ওপর কাজ করছেন সুগত হাজরা। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকায় এখন মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ নয় শতাংশের বেশি। আমেরিকার অর্থনীতি বিশ্বের বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে তার বড় প্রভাব বিশ্বের ওপর পড়ছে। এর ফলে ভারতের শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলো তাদের অর্থ বের করে নিচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব গোটা বিশ্বের অর্থনীতির ওপর পড়ছে। ফলে রুপির দামও কমছে।
অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, রুপির দাম আরো পরতে পারে। আমেরিকায় যদি আর্থিক মন্দা দেখা দেয়, তাহলে বিশ্বজুড়ে তার ভয়ংকর প্রভাব পড়তে বাধ্য।
ভারতীয় অর্থনীতি করোনার ধাক্কা সামলে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখনই এলো ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা। তার প্রভাব ভারতের ওপর পড়বেই বলে মনে করছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক আমলা অমিতাভ রায়।
ভারতের কোথায় অসুবিধা হবে? : বিশেষজ্ঞদের মতে, এক ডলার সমান ৮০ রুপি, এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক ধাক্কা। তবে ভারতের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হবে অশোধিত তেল আমদানির ক্ষেত্রে। ভারতে যতটা অশোধিত তেল প্রয়োজন, তার ৮০ ভাগই বিদেশ থেকে আসে। যেহেতু রুপির দাম পড়ে গেছে, তাই এই তেল কিনতে ভারতের বেশি অর্থ লাগবে। ভারতকে ভোজ্য তেলের একটা অংশ আমদানি করতে হয়। তাতেও রুপি বেশি লাগবে। বস্তুত, সব ক্ষেত্রে আমদানির খরচ বেড়ে যাবে। সুবিধা হবে রপ্তানির ক্ষেত্রে।
অমিতাভ রায়ের বক্তব্য, ভারত এখন রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে অশোধিত তেল কিনছে। সেখানে তারা তেল পাচ্ছে বাজারের তুলনায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ দামে। তবে তার দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলো যতটা রাশিয়ার তেল কিনছে, বেসরকারি সংস্থাগুলো কিনছে তার থেকে অনেক বেশি।
সুগত মনে করেন, এর ফলে শেয়ার বাজার আরো পরতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডও পরবে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে আশার কথা হলো, এই মুহূর্তে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় যথেষ্ট ভালো। আর রিজার্ভ ব্যাংক এবার রুপির পতন রুখতে ডলার বিক্রি করছে না। তারা বরং কাঠামোগত পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সুগত জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাংক যেমন দেশের ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে, তারা প্রবাসী ভারতীয়দের ক্ষেত্রে সুদের হার বাড়িয়ে দিতে পারবে। বাজপেয়ীর আমলে অর্থনীতির হাল সামাল দিতে প্রবাসী ভারতীয়দের অর্থ খুব কাজে এসেছিল। দেশে সুদের হার আগেই বাড়িয়েছে তারা, আরো বাড়তে পারে। আর রাশিয়ার তেল কেনার সুবিধা হলো, তা রুবল দিয়ে কেনা যাচ্ছে। অন্য দেশের সঙ্গেও ডলার বাদ দিয়ে তাদের দেশের মুদ্রায় আমদানি করার চেষ্টা করছে ভারত।
অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, বিদেশি লগ্নিকারি সংস্থাগুলো যে অর্থ তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে, এই ডিসেম্বরের মধ্যে তারা আবার ফিরে আসতে বাধ্য হবে। কারণ, আমেরিকাও ডলারের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। আর ভারতের মতো বাজার লগ্নিকারী সংস্থাগুলো অন্য জায়গায় পাবে না। ফলে ডলারের দাম ৮০ রুপি ছুঁলেও এখনই গেল গেল রব তোলার দরকার নেই বলে তারা মনে করছেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews