কাতার বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত গোল শূন্য ড্র হল তিউনেশিয়া-ডেনমার্কের মধ্যকার ম্যাচ। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের দল আক্রমণে চাপ সৃষ্টি করে রাখলেও অপেক্ষাকৃত দূর্বল তিউনেশিয়ার গোলদূর্গে কোনও আঘাত হানতে পারেনি। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই চালালেও তিউনেশিয়ার গোলদূর্গ অক্ষত থাকে।
বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপে কাতারের সিটি স্টেডিয়ামে ফিফা র্যাংকিয়ে ১০-এ থাকা ডেনমার্ক ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় থাকলেও তিউনেশিয়া কোনও সুযোগ দেয়নি প্রতিপক্ষকে ম্যাচের উপর চেপে বসার। প্রথমার্ধের অধিকাংশটায় ডেনমার্ক আধিপত্য রাখলেও তিউনেশিয়ার প্রাপ্ত সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিল এবং বেশ কিছুটা সময় নিয়ন্ত্রণ করে মাঝমাঠ।
বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আধিপত্য বেশি ছিল ডেনমার্কের। কিন্তু ম্যাচ থেকে কখনও হারিয়ে যায়নি তিউনেশিয়া। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে লড়াই করেছে সমান তালে। তবে শেষের দিকে বক্সের মধ্যে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনকে তিউনেশিয়ার ফুটবলার ফাউল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। যদিও ভিএআর-এ দেখার পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন ম্যাচ রেফারি।
আগামী ২৬ নভেম্বর পরবর্তী ম্যাচে ডেনমার্ক খেলবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। গ্রুপের শেষ ম্যাচটি ৩০ নভেম্বর খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
অপরদিকে, তিউনেশিয়ার পরবর্তী ম্যাচ ২৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এবং গ্রুপের শেষ ম্যাচটি তারা ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলবে ৩০ নভেম্বর।
তিউনেশিয়া-ডেনমার্ক ম্যাচে ৬১ শতাংশ বল পজিশন ছিল ডেনমার্কের দখলে। গোল লক্ষ্য করে ১১টি শট নিয়েছিল ডেনমার্ক যার মধ্যে ৫টি ছিল অন-টার্গেটে। ডেনমার্ক দলের নেওয়া একটি শট এ দিন বার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই শটটি গোল পোস্টে ভিতরে থাকলে শূন্য হাতে ফিরতে হত না ইউরোপের অন্যতম সেরা দলটিকে।
এ দিনের ম্যাচে ৬১ শতাংশ বল পজিশন ছিল ডেনমার্কের দখলে। গোল লক্ষ্য করে ১১টি শট নিয়েছিল ডেনমার্ক যার মধ্যে পাঁচটি ছিল টার্গেটে। ডেনমার্ক দলের নেওয়া একটি শট এ দিন বার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই শটটি তিন কাঠিতে থাকলে শূন্য হাতে ফিরতে হত না ইউরোপের অন্যতম সেরা দলটিকে।
Leave a Reply