বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি এই জেলার দায়িত্ব নেওয়ার পরে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তার মধ্যে রয়েছে, জেলার শিক্ষার মানউন্নয়নের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ডাটাবেজ তৈরি, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও তাদের জীবন মানের কি পরিবর্তন এসেছে তার তথ্য সংগ্রহ, উপজেলা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ৭ মাসের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সাতটি বিদেশি ভাষায় প্রতিযোগিতা, বৈদ্যুতিক ট্রান্সাফারমার চুরি ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ডিভাইজ স্থাপন, অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া, ওয়ানস্টপ সার্ভিসের আওতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী ও শিক্ষার্থীদের সরকারি সার্ভিস দেওয়া, কৃষি জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে ব্যবস্থাগ্রহণ, পাট চাষিদের পাট জাগের সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেয়াসহ বেশকিছু নাগরিক সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান বলেন, আমরা চাই একটি স্মার্ট জেলায় কোন নাগরিক সরকারি সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে যাতে কোন প্রকার সমস্যায় পড়তে না হয়- সে দিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখা।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, জেলা প্রশাসন হবে জেলাবাসীর প্রাণের জায়গা। সেখানে তারা তাদের যে কোন সমস্যা নিয়ে সরকারি সকল দপ্তরের কথা বলতে পারবেন। কোন হয়রানি ছাড়া সেবাগ্রহিতা তার ন্যায্য সেবা পাবেন।
তিনি বলেন, সরকারি উচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা সেই নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি। কোন সরকারি দপ্তরের প্রধানরা কাউকে হয়রানি করলে সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশেকুর রহমান, বিপুল চন্দ্র দাস, এনডিসি মুজিবুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সোহেল, সিনিয়র সাংবাদিক পান্না বালা, মশিউর রহমান খোকন, নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, এসএম তুরন, মফিজুর রহমান শিপন, তরিকুল ইসলাম খোকন প্রমুখ।
Leave a Reply