
ফরিদপুর শহরের বাখুন্দা বাজারের নৈশপ্রহরীদের বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনায় লুণ্ঠিন মালামালসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শরীয়তপুরের পালং থানার চরগাজীপুর এলাকার কাজল দেবনাথ, একই জেলার গোসাইরহাট থানার রানীসার এলাকার শহিদ ওরফে আবুল, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন ওরফে ফজো বেপারী, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার দক্ষিণ হলদিয়া এলাকার এমারত হোসেন, কুড়িগ্রামের খাউরার পাড় এলাকার সাইদুল সরকার ও ঢাকার দোহার থানার মেঘুলা এলাকার উজ্জল দাস।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, গত রবিবার জুলাই যশোরের বেনাপোল থেকে প্রথমে কাজল দেবনাথকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরেরদিন তাকে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হলে সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয় কাজল দেবনাথ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে উজ্জল দাস এবং মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে শহীদ ওরফে আবুল, আনোয়ার হোসেন ও এমারত শেখ, সাইদুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এমারত শেখ ও সাইদুলের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও উজ্জল দাসের নিকট হতে লুণ্ঠিত অলংকারের মধ্যে আট আনা ওজনের গালানো স্বর্ণের বার এবং ২০ ভরি রুপা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ফরিদপুর শহরের বাখুন্ডা বাজারে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার এসআই জব্বার ও কনস্টেবল হিমেল এ অভিযানে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিলসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এর আগে গত ৩ জুলাই রাতে রাজধানীর শ্যামপুর, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ও মাদারীপুর এলাকায় র্যাব ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মে রাতে গভীর রাতে ফরিদপুর শহরের বাখুন্ডা বাজারের নৈশপ্রহরীদের বেঁধে মারধর করে জুয়েলারিসহ বেশকয়েকটি দোকানের বিপুল পরিমাণ মালামাল লুট করে। চারটি ডাকাতদলের ২০ থেকে ২৫ জন এতে অংশ নেয়। ওই ঘটনায় ডাকাতি হওয়া দোকানের মালিকরা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply