বিমান বিধ্বস্ত হয়ে রুশ ভাড়াটে যোদ্ধাদল ভাগনার এর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর সংবাদে এ মুহূর্তে বেশ সরগরম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তবে প্রিগোজিনসহ অন্তত ১০ আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। প্রিগোজিন কি সত্যিই মারা গেছেন বা কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কোনো গণমাধ্যমই।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৩ আগস্ট) রুশ উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর পর প্রিগোজিনের নিহত হওয়ার খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। রাডার থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ৩০ সেকেন্ড আগেও উড়োজাহাজটি ভালো অবস্থায় ছিল। এর পর আকস্মিক উড়োজাহাজটি তার উড্ডয়নের উচ্চতা ২৮ হাজার ফুট থেকে খাড়া ভাবে আট হাজার ফুট নেমে যায়। এমনটি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ফ্লাইটরাডার২৪ এর শীর্ষ কর্মকর্তা আন পেটচেনিক। তিনি বলেন, যা ঘটেছে তা খুবই দ্রুততম সময়ে ঘটেছে। এমন আকস্মিক পতনের আগে উড়োজাহাজটিতে তেমন সমস্যা ছিল না। প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায় উড়োজাহাজটির সম্মুখভাগ পুরোপুরি খাড়াভাবে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে আর এর পেছনে আগুনের কুণ্ডলী। এতে মোট আসন সংখ্যা ছিল ১৩।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রুশ কর্তৃপক্ষের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে তিনজন ক্রুসহ ১০ জন আরোহী ছিলেন। তারা সবাই নিহত হয়েছেন। আর দ্য মস্কো টাইমস তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে বলেছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ চলাচল সংস্থার পক্ষ থেকে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের আরোহী হিসেবে প্রিগোজিনের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মস্কো টাইমস আরও বলেছে, ওয়াগনার সম্পৃক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেল বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রিগোজিনের মরদেহ পাওয়ার দাবি করেছে। কিন্তু মস্কো টাইমস নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি।
Leave a Reply