1. admin@thedailypadma.com : admin :
বান্দরবানে নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কারা এই কেএনএফ - দ্য ডেইলি পদ্মা
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

বান্দরবানে নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কারা এই কেএনএফ

  • Update Time : শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৬২ Time View
পার্বত্য চট্টগ্রামের নতুন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। গত তিন দিনে বান্দরবানের পাহাড়ি সংগঠনটি তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি করেছে এবং এক কর্মকর্তাকে অপহরণ করেছে। এর ফলে পাহাড় আবার অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় বারবার উঠে আসছে কারা এই কেএনএফ।
কেএনএফ সম্প্রতি সংগঠনের নামে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে দাবি করেছে,  পাহাড়ের দুই জেলার ৯ উপজেলা নিয়ে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণাও দেয় তারা। কয়েকটি সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি এবং হত্যার অভিযোগ উঠতে থাকে শুরু থেকেই। তারা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম—এই উপজেলাগুলো নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবি করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা একাধিক বিবৃতিতে কথিত এই সংগঠন জানায়, কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নামে একটি সশস্ত্র দল গঠন করেছে তারা। তাদের মূল সংগঠনের সভাপতি নাথান বম।
তাদের দাবি, তাদের সামরিক শাখার শতাধিক সদস্য গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে পাড়ি জমান বছর তিনেক আগে। ২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে। চলতি বছর তারা আত্মগোপনে যায়।
গত ১৭ এপ্রিল ভোরের দিকে রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের বিলপাড়ায় (তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া) সশস্ত্র হামলায় নিহত হন অ্যাকশন চাকমা নামের এক ব্যক্তি। কেএনএফের সদস্যরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে এলাকায় প্রচার আছে।
বান্দরবানের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, কেএনএফের প্রধান হিসেবে যে নাথান বমের কথা বলা হচ্ছে, তিনি রুমা উপজেলার এডেন পাড়ার অধিবাসী। নাথান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের স্নাতক। রুমার এডেন পাড়ায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) নামের একটি বেসরকারি সংগঠনেরও প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন, সেটা জানা যায়নি।
রুমা থানার ওসি (তদন্ত) এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাথান বমের নেতৃত্বে একটি সংগঠনের কথা শোনা যায়। এরপর আমরা তাঁর খোঁজ করার চেষ্টা করি। তবে নাথান বমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা তাঁর খোঁজ করছি।’
এরপর দলটির তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায়। ওই বছরই আলীকদমে ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর কিছু তরুণ সদস্যকে নিয়ে আরেকটি সশস্ত্র দল গঠিত হয়। এর প্রধান রুংজুমা ত্রিপুরা প্রতিবেশী একটি দেশে চলে গেছেন বলে এলাকায় প্রচার আছে। ওই দলেরও এখন কোনো তৎপরতাও নেই।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আগে বান্দরবানে ‘মগ পার্টি’ নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা শুরু হয়। মারমা জাতিগোষ্ঠীর কিছু সদস্য এ দল গঠন করে বলে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে। সর্বশেষ আত্মপ্রকাশ করল কেএনএফ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews