অবৈধ সম্পদ অর্জনে অভিযুক্ত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিলাসবহুল ডুপ্লেক্সে অভিযান শুরু করেছে দুদক, যে বাড়িতে অবকাশ যাপনের জন্যে একসময় প্রায়ই যেতেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ উপজেলার আনন্দ হাউজিং সোসাইটি এলাকার মূল্যবান ও দৃষ্টিনন্দন বাড়িটিতে বুধবার দুপুরে অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও দুদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ রয়েছেন। তালা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশের পর সেখানে থাকা বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী ও মালামাল জব্দ করছেন তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেনজীর আহমেদ প্রায় আট বছর আগে রূপগঞ্জের প্রয়াত প্রেমানন্দ সরকারের সন্তানদের কাছ থেকে এক কোটি ৮৩ লাখ টাকায় এই জায়গা কিনে নেন। এরপর ২০২২ সালের দিকে ডুপ্লেক্স বাড়িটি নির্মাণ করা হয়।
বেনজীর আহমেদ মাঝেমধ্যেই ওই ডুপ্লেক্সে যেতেন, রাত্রিযাপনও করতেন বলেও তারা জানিয়েছেন। বাড়ির নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক রাখা হয় বিদেশি কুকুরসহ কেয়ারটেকার।
এরপর বাড়িটি দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ দেয় আদালত।
সম্প্রতি বেনজীর ও তার পরিবারের অঢেল সম্পদ অর্জনের তথ্য সামনে চলে আসায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। শত শত বিঘা জমি, রিসোর্ট, খামার, ঢাকার কয়েকটি ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পত্তি মালিক সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গত ২৩ মে বেনজীরের ৮৩টি দলিল জব্দ ও ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন অবরুদ্ধের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে ২৬ মে স্ত্রীর নামে ১১৯টি দলিল ও গুলশানে একদিনেই কেনা চারটি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ আসে। ফ্রিজ করা হয় ২৩টি কোম্পানির শেয়ার।
স্ত্রী-সন্তানসহ বেনজীরের অঢেল সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে ডাকা হয়। কিন্তু দেশ ছেড়ে চলে গেছেন তারা। পরপর দুই দফা তলব করলেও বেনজীর ও পরিবারের কেউ দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়নি।
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১২ জুন আদালত তৃতীয় দফায় বেনজীরের আরও বিপুল সম্পদ জব্দ করেছে। সে তালিকায় এই বাংলোটিও ছিল।
Leave a Reply