দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। চাকরিপ্রত্যাশীদের অবস্থান নেয়ায় শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে করে শাহবাগ এলাকার সবগুলো সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
‘বয়স না মেধা-মেধা মেধা’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ-এবার দাও প্রজ্ঞাপন’, ‘৩০ এর শৃঙ্খল-ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, ৩৫ আমার ঠিকানা’, ‘বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশে বৈষম্যের ঠাঁই নেই’, ‘সাড়া বাংলায় খবর দে, ৩০ এর কবর দে’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী বলছেন, বাংলাদেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। একারণে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। কিন্তু, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করে সেটি ৩০ বছরেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, যার কারণে দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তারা আরো বলেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩০ বছর। নতুন বাংলাদেশে আমরা এই বৈষম্য মানি না।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাকিল বলেন, দুপুরের দিকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছিল। সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। অবরোধের কারণে এ এলাকায় আপাতত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য কাজ করছি।
Leave a Reply