টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়, ট্রাম্প ইসরায়েলের কাছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা করছেন। এর মধ্যে ৩.৮ বিলিয়নের ৩০টি এএইচ-৬৪ অ্যাপাচি হেলিকপ্টার; ১.৯ বিলিয়নের ৩ হাজার ২০০টি ইন্ফ্যান্ট্রি অ্যাসল্ট ভেহিকেল।
এছাড়াও প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের বর্মযুক্ত যানবাহনের জন্য যন্ত্রাংশ ও পাওয়ার সাপ্লাই। তবে এই অস্ত্রগুলো ডেলিভারি হবে দুই থেকে তিন বছর বা তারও বেশি সময় পর।
এই বিশাল অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত এসেছে এমন সময়ে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় হামাসের সঙ্গে প্রায় দুই বছরের যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা করছিল, কিন্তু তা এখন স্থগিত রয়েছে। এছাড়াও কাতারের দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের হামলা মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন মিত্রদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।
তবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এই অস্ত্র বিক্রির খবরটি প্রথমবার প্রকাশ করে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
এর আগে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের জন্য ২ হাজার পাউন্ড বোমার শিপমেন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল যাতে নাগরিকদের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ কমানো যায়, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর সেই স্থগিতাদেশ তুলে দেয়।
ট্রাম্প প্রশাসন এ বছরের মধ্যে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের বড় সামরিক সহায়তা ইসরায়েলের জন্য অনুমোদন করেছে। সর্বশেষ জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের জন্য একটি অর্ধ-বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করে, যাতে তাদের মিলিটারি বোমা গাইডেন্স কিট দিয়ে পুনঃসরবরাহ করা যায়।
এই ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরো দুজন ব্যক্তি। কংগ্রেস সাধারণত এই ধরনের অস্ত্র বিক্রির অনুরোধগুলো কমিটি অনেকটা গোপনীয়ভাবে পর্যালোচনা করে, পরে সেটি স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে আরো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার জন্য পাঠায়। এই অস্ত্র বিক্রির বিষয়গুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান ১০ বছরের চুক্তির অংশ, যা শেষের দিকে পৌঁছচ্ছে।
Leave a Reply