1. admin@thedailypadma.com : admin :
সাত এমপির পদত্যাগ, ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন - দ্য ডেইলি পদ্মা
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
১৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা তরুণরা জেগে উঠলে কোনো শক্তি দমিয়ে রাখতে পারে না: প্রধান উপদেষ্টা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুরে অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আন্দোলনরতদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ, বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর-আগুন পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণা ফরিদপুরের ব্যবসায়ী খান মাহবুব এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিতে ১৬টি ভবন ধ্বংস করেছে, নিহত ৫৩ সারাদেশে ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

সাত এমপির পদত্যাগ, ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন

  • Update Time : রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১০১ Time View
একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট আসনগুলোতে সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যেই উপ-নির্বাচন দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এক্ষেত্রে পদত্যাগের তারিখ থেকে দেড়-দুই মাসের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার পরিকল্পনার সংস্থাটির।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ায় দেখেছি, উনারা পদত্যাগ করেছেন। এজন্য আসন শূন্য হওয়ার কোনো গেজেট হয়নি। যদি সত্যিকার অর্থেই উনারা পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে যদি ডেপুটি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন, তখন গেজেট হবে। গেজেট হলে তারপর আমাদের কাজ শুরু হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ শুরু করার সুযোগ নেই। কোনো সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে এটাই ইসির দায়িত্ব।
উপ-নির্বাচন হলে কয়েকমাসের মধ্যেই আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন – বিষয়টি সামনে আনলে এই কমিশনার বলেন, এটা তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। আসন শূন্য হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে করতে হবে। নব্বই দিন তো আর যাবে না। গেজেট পাওয়ার পর দেখা যাবে যে দুই মাস লাগতে পারে, দেড় মাসও লাগতে পারে।
সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ভোট তো ইভিএমেই হবে। কিন্তু সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন হবে কিনা, সেটা নির্ভর করবে সেটা কতটা ভার্নারেবল। নির্বাচন করতেই হবে। কারণ আসন শূন্য রাখার তো কোনো সুযোগ নেই।
ইভিএমেই ভোট গ্রহণের প্রতি মত দিলেন তিনি। সামর্থ্য থাকলে ৩০০ আসনেই ইভিএম দেওয়ার পক্ষে এ নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করাটা যদি মূল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে আমি বলব যে ইভিএম ভালো। এদেশের নির্বাচনে যারা হেরে যান, তারাই বলেন যে কারচুপি হয়েছে। কাজেই কেউ যদি হেরে যান বলার সুযোগ থাকবে না, যে কারচুপি হয়েছে। ইভিএমে যতো নির্বাচন করেছি, হেরে যাওয়ার পর দেখেন কোনো অভিযোগ আছে কিনা। কিন্তু যেখানে ব্যালটে নির্বাচন হয়, সেখানে ভোট ঠিকমত করে নাই, ভোট আগে দেয়, পরে দেয়; নানা কথা হয়। ইভিএমের প্রভাব বিস্তার করার কোনো সুযোগ নাই। আমাদের সামর্থ থাকলে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করতাম।
ইভিএম নিয়ে বিএনপির অনাস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, উনারা আগে থেকেই অনাস্থার কথা বলেছেন। আবার অনেকের আস্থা আছে। আমাদের কাজ হলো সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সঠিক মনে হবে সেটাই সিদ্ধান্ত নেব। ৩৯টি দল আছে। সবাই যদি বাতিল চায় যে প্রক্রিয়া আছে সেটাই হবে। আরা একটা দুইটা যদি না চায় অন্যরা যদি চায় তাহলে গণতান্ত্রিক যেটা হয়, সেটাই তো করতে হবে।
বিএনপির করা বর্তমান কমিশনের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টা হলো যে রাজনেতিক দলগুলোর নানা চাহিদা থাকতে পারে। কোনটা পালন করবেন? এখন সব দল যদি চায় তাহলে তো আমর। কাজের মাধ্যমে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করব। আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব আছে কিনা সেটা দেখেন। ইকুয়েল আচরণ করছি কিনা সেটা দেখেন। একটা দল আরেকটা দলের কাছে চাওয়া প্রেক্ষিতে যদি নির্বাচন কমিশনকে টার্গেট করা হয়, সেটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমাদের তো উদ্যোগ সব সময় থাকবে। যখন মনে হবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দরকার, তখন তো অবশ্যই করব।
সাত এমপির পদত্যাগ নিয়ে তিনি আরও বলেন, তাদের পদত্যাগ ভিন্ন একটি ইস্যু। যতটা না নির্বাচন সম্পর্কিত, ততটা রাজনৈতিক। এটা স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছি। একজন সংসদ সদস্য তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এটা সংবিধানে বলা আছে, যে কিভাবে পদত্যাগ করবেন সেটা বলা আছে। এখানে ইসির উৎসাহ, নিরুৎসাহিত করার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, নিবন্ধিত দল হিসেবে আমরা যে কোনো সময় উনাদের সঙ্গে আলোচনা করতেই চাইতে পারি। উনারাও চাইতে পারে। আমাদের যখন যে দায়িত্ব পালন করার উচিত তখন সেভাবেই দায়িত্ব পালন করব। রাজনৈতিক বিষয়গুলো রাজনীতিবিদরা দেখবেন সরকার দেখবেন। আমাদের কাজের লিমিট দেওয়া আছে। এটা দল ও সরকারের উপর নির্ভর করে।
প্রসঙ্গত, ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির ৭ এমপি পদত্যাগপত্র ই-মেইল যোগে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews