1. admin@thedailypadma.com : admin :
ভারত ভবিষ্যতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে - দ্য ডেইলি পদ্মা
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
১৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা তরুণরা জেগে উঠলে কোনো শক্তি দমিয়ে রাখতে পারে না: প্রধান উপদেষ্টা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুরে অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আন্দোলনরতদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ, বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর-আগুন পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণা ফরিদপুরের ব্যবসায়ী খান মাহবুব এর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটিতে ১৬টি ভবন ধ্বংস করেছে, নিহত ৫৩ সারাদেশে ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে এক নজরে বিশ্ব সংবাদ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ আজকে কোন টিভি চ্যানেলে কোন খেলা

ভারত ভবিষ্যতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২
  • ২৬৩ Time View

মার্কিন প্রশাসনের এক প্রবীণ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর ভারত যে হারে মস্কো থেকে তেল কিনছে, তার ফলে তারা ভবিষ্যতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে।

কিছুদিন আগেই বাইডেন প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ভারত যদি ডিসকাউন্টে রাশিয়া থেকে তেল কেনে, তাহলে আমেরিকার কোনো আপত্তি নেই। কারণ, এখন যে নিষেধাজ্ঞা চালু আছে, তাতে রশিয়া থেকে তেল কেনার কোনো বাধা নেই।

কিন্তু এখন মার্কিন কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, স্বাভাবিক ভাবে তেল কিনলে আমেরিকার কোনো আপত্তি নেই। স্বাভাবিক ভাবে মানে অন্যান্য বছর রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ তেল কেনা হতো, এখনও সেই পরিমাণ বা তার সামান্য কম-বেশি তেল কেনা যেতে পারে। কিন্তু পরিমাণটা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে অসুবিধা রয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং অর্থনীতি বিষয়ক মার্কিন ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার দলীপ সিং ভারত সফরে আসছেন। তার আগে মার্কিন প্রশাসনের তরফে এই ধরনের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। দলীপ সিং আবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মূল পরিকল্পনাকারী।

রয়টার্স যে হিসাব দিচ্ছে তা হলো- ২০২১ সালে সারা বছর ধরে রাশিয়া থেকে ভারত ১৬ মিলিয়ান ব্যারেল তেল কিনেছে। আর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে ১৩ মিলিয়ান ব্যারেল তেল কিনে ফেলেছে। এখানেই অশনি সঙ্কেত দেখছে অ্যামেরিকা।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে অ্যামেরিকার কোনো আপত্তি নেই। কিছু বেশি পরিমাণ তেলও কেনা যেতে পারে। কিন্তু সেটা যেন সীমা না ছাড়ায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আমরা চাই, ইউক্রেনে লড়াই অবিলম্বে শেষ হোক। তার জন্য রাশিয়াকে চাপ দিতে হবে। ফলে ভারত সহ অন্য দেশগুলি যদি নিষেধাজ্ঞার শর্ত না মানে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে’।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার তেলের বিক্রি কমেছে। আগে বিশ্বে প্রতিটি ১০ ব্যারেল তেলের মধ্যে এক ব্যারেল রাশিয়ার থকত। কিন্তু এখন বিশ্ববাজারে প্রতিদিন রাশিয়ার তেল ৩০ লাখ ব্যারেল কম বিক্রি হচ্ছে।

সূত্র জানাচ্ছে, ভারত রাশিয়াকে তেলের দাম রুপিতে দিক বা ডলারে, তাতে অ্যামেরিকার কিছু যায় আসে না। তাদের একমাত্র দাবি, সীমার মধ্যে থেকে তেল কিনতে হবে।

ভারত কি এই নির্দেশ মানবে?

অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দাশগুপ্ত এবং যোজনা কমিশনের সাবেক আমলা অমিতাভ রায় দুজনেই মনে করেন, ভারতের পক্ষে রাশিয়াকে যেমন চটানো সম্ভব নয়, তেমনই আমেরিকার বিরাগভাজন হওয়াও সম্ভব নয়।

দীপঙ্কর দশগুপ্ত মনে করেন, কূটনৈতিক দিক থেকে দেখলে, রাশিয়ার সঙ্গে চীন ও পাকিস্তানের সম্পর্ক খুবই ভালো। তাই ভারত রাশিয়াকে চটাতে চায়নি ও চাইবেও না। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ‘তেলকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে রাশিয়া ও আমেরিকার সম্পর্ক কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে তা বলা শক্ত। কূটনৈতিক দিক থেকে ভারত আমেরিকা বা রাশিয়া কারও শত্রু হতে পারবে না। রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা না করলে তারা পুরোপুরি চীন ও পাকিস্তানের দিকে চলে যাবে। তাই ভারত বরাবরই রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক দিক থেকে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে’।

অমিতাভ রায় জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই ভারত নিজের স্বার্থ দেখবে। তবে আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে ভারত আলোচনা দীর্ঘায়িত করবে। সেই সুযোগে বেশি তেল কিনবে রাশিয়ার কাছ থেকে’।

তার দাবি, ‘আমেরিকা যদি ভারতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে নিজেরাই বিপাকে পড়বে। কারণ, ভারতের মতো এত বড় বাজার তারা পাবে না। সেজন্য অতীতেও ভারতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে লাভ হয়নি’।

দীপঙ্কর দাশগুপ্ত মনে করেন, ‘অর্থনীতির দিক থেকে দেখতে গেলে তেলের দাম যেভাবে বাড়ছে। যুদ্ধের বাজারে তেলের দাম যে জায়গায় গিয়ে পৌঁছাচ্ছে, তাতে ভারত একটা বিকল্প জায়গা তৈরি করতে চাইছে। রাশিয়া এটা চায়। তেলের দাম যে ডলারে নিয়ন্ত্রিত হয়, তা নিয়ে ইউরোপের অনেক দেশের মতো রাশিয়ারও আপত্তি আছে’।

তার মতে, ‘রাশিয়া যে রুবলে তেল নেয়ার কথা বলছে, তা বাস্তবে হবে কি না, তা বলা মুশকিল। তবে ভারতের সঙ্গে যদি রুবল-রুপির সম্পর্ক তৈরি হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তা প্রভাব ফেলতে পারে’।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
স্বপ্নপূরণের ক্ষণগণনা
অপেক্ষা উদ্বোধনের
দিন
ঘন্টা
মিনিট
সেকেন্ড
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews